
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গণপূর্ত অধিদপ্তরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও প্রাক্কলন ফাঁসের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এ অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পের গোপন প্রাক্কলন তথ্য দরপত্রদাতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দুদকের দল অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে নথিপত্র যাচাই করে দেখতে পায়, ঢাকা মেট্রো জোনের তিনটি প্রকল্পের দরদাতারা এমন দরপত্র জমা দিয়েছেন, যা সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় প্রাক্কলনের সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে মিলে যায়।
সাধারণত এসব প্রাক্কলন তথ্য অত্যন্ত গোপন রাখা হয়। অথচ দরপত্রে এমন নির্ভুল মিল পাওয়া দুদকের কাছে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে অভ্যন্তরীণভাবে প্রাক্কলন ফাঁস হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রাথমিক যাচাইয়ে অনিয়মের প্রমাণ মিললেও, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর টেন্ডার সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযোগ অনুযায়ী, বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক ও ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে এমন অনিয়ম চোখে পড়েছে। এর মধ্যে রমনা কমপ্লেক্সে ১০ তলা ফাউন্ডেশনসহ ৬ তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডারে ‘দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’ ও ‘সুগার ইনফো বিল্ডার্স লিমিটেড’-এর যৌথ প্রস্তাবনা সরকারি প্রাক্কলনের ঠিক ১০ শতাংশ কমে জমা পড়ে। এতটা নির্ভুলতা সাধারণভাবে সম্ভব নয়—যা প্রাক্কলন ফাঁসের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলে দুদক সূত্রের ধারণা। একই ধরনের আরও কয়েকটি প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়েও তদন্ত চলছে।