গ্রাহকদের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ: বনগ্রাম জনতা ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম জনতা ব্যাংক শাখার গ্রাহকদের হিসাব থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক হেমায়েত করিমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) উপজেলার সাগরদারী গ্রামের ব্যবসায়ী সালাম ব্যাপারী ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, তার হিসাবে কোনো টাকা নেই। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আরও অনেক গ্রাহক নিজেদের হিসাব চেক করে দেখেন, তাদের টাকাও উধাও। অভিযোগের পর জেলা অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পান।
পরদিন নতুন ব্যবস্থাপক হিসেবে ফরিদুজ্জামান দায়িত্ব নেন। তিনি বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় সাবেক ম্যানেজার হেমায়েত করিমের বিরুদ্ধে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।
আতাইকুলা থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫৪ ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার সকাল থেকেই ব্যাংকে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সবাই নিজের নামে থাকা হিসাব পরীক্ষা করতে আসেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী তনয় সাহা জানান, তার সিসি লোনের ৪৯ লাখ টাকা হিসাব থেকে উধাও হয়ে গেছে এবং টাকা তোলার আগে তার মোবাইলের মেসেজ অপশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অন্য গ্রাহকরাও একই অভিযোগ করেন। সালাম ব্যাপারীর হিসাবে ৪১ লাখ টাকা, শাপলা খাতুনের ১৬ লাখ টাকা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিন্চুর ১০ লাখ টাকা, আ. মতিনের ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, হযরত আলীর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আবু জাফরের ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমান ব্যবস্থাপক ফরিদুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনতা ব্যাংকের পাবনা শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মুন্জুরুল ইসলাম জানান, বিভাগীয় এবং হেড অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। বর্তমানে অভিযুক্ত ম্যানেজার হেমায়েত করিম জেলহাজতে রয়েছেন।