
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজেই বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঘটনার বিষয়ে লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি সন্ধ্যায় জানান, এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বিশেষ অভিযানে তিনজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা হবে না। আগামীকাল (২১ অক্টোবর) সকালে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করবো।”
নৃশংস খুন:
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহত জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ছাত্রদলের জবি শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও সহপাঠীদের তথ্যমতে, জোবায়েদ আরমানিটোলার একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। হত্যাকাণ্ডের পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বংশাল থানায় নেয়া হয়।
প্রেমঘটিত বিরোধেই হত্যাকাণ্ড:
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রেমঘটিত দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। জোবায়েদকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে মোট তিনজন ছিল, এবং ছুরিকাঘাত করে মাহিরই।
হত্যাকাণ্ডের পর রাতে মাহির আত্মীয়দের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে মাহিরের মা তাকে থানায় সোপর্দ করেন বলে জানান কর্মকর্তারা।
মামলার জটিলতা:
হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টা পরও এ ঘটনায় মামলা হয়নি। জোবায়েদের পরিবার অভিযোগ করেছে, তারা রোববার রাত ১২টা থেকে মামলা করার চেষ্টা করলেও, এখনো পর্যন্ত মামলা নিতে পারেনি পুলিশ।