
এসএম বদরুল আলমঃ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সম্প্রতি দেশের তিনটি জেলায় অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং খাদ্য খাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। এই অভিযানে দালালচক্র, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান, নথিপত্রে গরমিল এবং নিম্নমানের পণ্য মজুদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে।
রাজধানীতে, রাজউকের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। টিমটি আবেদনপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য গ্রহণ করে।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানোর অভিযোগে খুলনা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযান চালায়। অভিযানে দালালচক্রের সক্রিয়তা ধরা পড়ে এবং সাতজন দালালকে হাতেনাতে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করে। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও অভিযান চালানো হয়, যেখানে দেখা যায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়া চলছিল এবং দালালদের মাধ্যমে রোগী সংগ্রহ করছিল।
এছাড়া, যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ সরকারি খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল মজুদের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করে। চালের প্রকৃত পরিমাণ যাচাইয়ের সময় ১০টি বস্তায় নিম্নমানের চাল পাওয়া যায় এবং গুদাম কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধানের তালিকাও দেখাতে ব্যর্থ হন।
দুদক জানিয়েছে, অভিযানে সংগৃহীত তথ্য, উপাত্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।